ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫ , ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নকলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ২ শহিদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ উপজেলা প্রশাসনের।


আপডেট সময় : ২০২৫-০৮-০৫ ২১:১৬:৫১
নকলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ২ শহিদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ উপজেলা প্রশাসনের। নকলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ২ শহিদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ উপজেলা প্রশাসনের।
 
জাহাঙ্গীর হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের নকলায় ২ শহিদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোনাজাত ও বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন করেছে নকলা উপজেলা প্রশাসন।  
 
৫ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ চরঅষ্টধর ইউনিয়নের নারায়নখোলা এলাকার চরবসন্তী গ্রামের আব্দুল আজিজ (৩৬) এবং গনপদ্দি ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের সফিক মিয়ার (৪০) কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পন, শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত ও কবরের পাশে ২টি করে বৃক্ষের চারা রোপন করে উপজেলা প্রশাসন।
 
ওই সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ তাকী তাজওয়ার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান, ওসি (তদন্ত) আবুল কাশেম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী, উপজেলা প্রকৌশলী মো. সামছুল হক রাকিব, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হামিদুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন জাহান, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি এস এম মাসুম, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি শরীফুল ইসলাম, গণপদ্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুর রহমান আবুল চরঅষ্টধর ইউনিয়ন পরিষদের প্যাণেল চেয়ারম্যান দুলাল উদ্দিনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, শহিদ পরিবারের সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। 
 
উল্লেখ্য, শহিদ সফিকের পিতার নাম জুলহাস মিয়া। ২ বোন ১ ভাইয়ের মধ্যে সফিক ছিল মেঝো। সে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানা এলাকায় মিনা গার্মেন্টসে শ্রমিকের কাজ করত। সফিক বিবাহিত এবং ৩ কন্যাসন্তানের জনক। ২০২৪ সনের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৪ আগষ্ট বেলা আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় সোনারগাঁও থানাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর সেনপাড়া নামক স্থানে পাকাসড়কে আন্দোলনকারীদের উপর চালানো গুলিতে সফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ওইদিন রাতে সফিকের মরদেহ বাড়িতে এনে পরদিন তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করে।
 
ভুমিহীন শহিদ সফিকের পরিবারের বাস দরিদ্রসীমার নীচে। বাবা জুলহাস মিয়া মাছ বিক্রি করে যা পেত তা দিয়ে কোনমতে খেয়ে না খেয়ে চলত সফিকের পরিবার। জুলহাস অসুস্থ্য হয়ে শয্যাশায়ী হওয়ার পর সফিক পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে সোনারগাঁও এলাকায় তৈরি পোষাক কারখানায় শ্রমিকের চাকরি নেয়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারিয়ে এখন সফিকের পরিবার ভাসছে অকূল সাগরে জানিয়েছেন সফিকের বাবা জুলহাস মিয়া। শোকে পাথর সফিকের মা, স্ত্রীসহ অবুঝ ৩ শিশুসন্তান।
 
শহিদ আজিজের পিতার নাম মৃত মোজাম্মেল হক। অবিবাহিত আজিজ জীবিকার তাগিদে ঢাকার উত্তরায় শ্রমিকের কাজ করত। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগষ্ট সকালের দিকে তিনি উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হন। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর ৭ আগষ্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আজিজ। পরদিন তাকে নিজ এলকায় একটি গোরস্থানে দাফন করা হয়। উপার্জনক্ষম একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় আজিজের মা। 





 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ